গুগলের তাইওয়ান অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। তবে একই অফিসে বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী আগে থেকেই কাজ করছেন।
এই চারজনই সিএসই বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ।
চার শিক্ষার্থীর মধ্যে শাহরিয়ার হোসেন সজীব, নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা ইতিমধ্যেই তাইওয়ান অফিসে কাজে যোগ দিয়েছেন। সাদমান সাকিব ও সাফায়েত উল্যাহ যোগ দিবেন ২০২২ সালের শুরুতেই ।
রাঈদা কাজ করছেন গুগলের ‘পিক্সেল ক্যামেরা সিস্টেম’ সফটওয়্যার টিমে। সাদমান সাকিব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে ‘ক্রোম ওএস’ টিমে যোগ দেবেন। অন্যদিকে সাফায়েত উল্যাহ কাজ করবেন ‘গুগল পিক্সেল টিমে’। তবে সজীব কোন টিমে কাজ করছেন সেটি জানা যায়নি।
নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা বলেন, ‘আমরা দুজন ব্যাচমেট ইতিমধ্যেই এখানে আছি, আর এই বছর আরও দুজন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটা ভেবেই অনেক আনন্দ হচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বন্ধু একসঙ্গে এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করব৷ অপেক্ষায় আছি কবে বাকি দুইজন এখানে এসে পৌঁছাবে।’
সাদমান বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই গুগলে চাকরির ডাক পেয়েছি। প্রবলেম সলভিং এবং কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো ফলাফলই গুগলে আবেদন করার বিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
‘গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানে এই সুযোগ পেয়ে আমি ও আমার পরিবার আনন্দিত। বিশেষ করে চার বন্ধুর সঙ্গে একই অফিসে কাজ করব, এটা অনেক আনন্দের।’
সাফায়েত উল্যাহ বলেন, ‘কাজের মাধ্যমে দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কিভাবে আরও বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করব। সাধারণত বিদেশে চাকরিতে যোগদান করতে গেলে সবাই একাকিত্ব, ফ্রেন্ড বা পরিচিত মানুষের অভাববোধ করে৷ তবে সেখানে তিন বন্ধুকে পাচ্ছি, এটা অনেক খুশির ব্যাপার। অপেক্ষায় আছি, কবে তাদের সঙ্গে দেখা হবে।’
শাহরিয়ার হোসেন সজীব ও সাদমান সাকিব উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেছেন নটর ডেম কলেজ থেকে। নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা ছিলেন ঢাকার হলি ক্রস স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সাফায়েত উল্যাহ উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন ফেনী সরকারি কলেজ থেকে।
চার শিক্ষার্থীর এই সফলতার নিয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মো. তারেক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতই বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেশের ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করছে। সামনের দিনে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করবে এই কামনা করি।’