আইন অমান্য করে ক্যাম্পাসের ভেতর শিশু সন্তানকে দিয়ে গাড়ি চালানোয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালকে সহকারী প্রক্টর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে তার ১০-১২ বছরের ছেলেকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গাড়ি চালিয়ে আইন ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ভার্চুয়াল সভায় এ অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সেদিন বিকেল থেকেই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওয়ার্ডেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে ৩১ জুলাই মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে হয়রানির অভিযোগ এনে লিখিত দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের ছাত্র জহুরুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়, ৩০ জুলাই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে জহুরুল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে স্কুটারে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এলে পেছন থেকে একটি গাড়ি বারবার তাদের হর্ণ দিতে থাকে।
গাড়িটিকে চলে যাওয়ার সংকেত দিয়ে রাস্তার একপাশে চলে যান তিনি। গাড়িটি ট্রান্সপোর্ট চত্বরে এসে থামলে জহুরুলও স্কুটার থামান। তিনি দেখেন ১২ থেকে ১৩ বছরের একটি শিশু গাড়ির চালকের আসনে, পাশে মেহেদী ইকবাল।
জহুরুল ওই সময় মেহেদীকে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করেন। এ সময় মেহেদী রাগান্বিত স্বরে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। সহকারী প্রক্টরকে না চেনায় প্রাথমিকভাবে পরিচয় দেননি জহুরুল। পরে মেহেদী গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে উগ্র ও মারমুখী আচরণ করেন।
তবে এ বিষয়ে মেহেদী ইকবাল জানান ভিন্ন কথা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে কী কারণে প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, আমি নিজেও তা জানি না। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ কোনো স্বার্থ আছে এখানে।’
এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।