মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনায় জড়িত কর্মকর্তাদের সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সুপারিশ করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বুধবার স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গত ২৭ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মিশর থেকে উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার ঘটনায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম পায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সে সময় নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী।
২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে ড্রাই লিজ পদ্ধতিতে পাঁচ বছরের জন্য দুটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান। এর এক বছরের মধ্যেই প্রথম উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজ সচল রাখতে পরপর দুটি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হলে নষ্ট হয়ে যায় সেগুলোও। পরের উড়োজাহাজটির ক্ষেত্রেও একই সংকটে পড়ে বিমান।
ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে উড়োজাহাজ দুটি অচল হয়ে বসে থাকলেও এর জন্য বছরে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে বিমানকে। পাঁচ বছরে এই দুটি উড়োজাহাজের কারণে বিমানের লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
দশম সংসদে এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি প্রথম এই উড়োজাহাজ দুটির বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। সে সময় দেয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যাচাই না করেই উড়োজাহাজ দুটি ভাড়ায় আনা হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিষয়টি নিয়ে আবারও তদন্ত শুরু করে একাদশ সংসদের সংসদীয় কমিটি।
বুধবারের সভায় কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, আনোয়ার হোসেন খান, শেখ তন্ময়, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।
এতে ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল- ২০২১’ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে কমিটি আগামী বৈঠকে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।