সার, সিমেন্ট, চামড়া ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে রাশিয়ার শিল্পোদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ চেয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তেভিক ম্যানটিটস্কির মাধ্যমে বুধবার এ বিনিয়োগ প্রস্তাব দেয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বুধবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে সেখানে আলোচনা হয়।
শিল্পমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, এখানে সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট, হালকা প্রকৌশল, চামড়া, সিরামিক, ওষুধ, কাগজ, জাহাজ নির্মাণ ও রসায়ন খাতে যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এতে দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
‘রাশিয়ার শিল্পোদ্যোক্তারা বাংলাদেশের এসব খাতে বিনিয়োগ করলে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সব রকম সহযোগিতা দেয়া হবে।’
শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম ইয়াহিয়া, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আব্দুল ওয়াহেদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে রাশিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। রাশিয়ার প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এ চুক্তি সম্পদানে উভয়ে একমত প্রকাশ করেন। শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং রাশিয়ার ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেটিং অ্যান্ড মেট্রোলজি এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই ত্বরান্বিত করতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তাগিদ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত সমঝোতা চুক্তির খসড়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাশিয়ার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে তা সংশোধন করে পুনরায় পাঠানো হবে।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ-রাশিয়া ইন্টারগভার্ণমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড, ইকোনোমিক, সাইন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এর পরবর্তী সভায় দু’দেশের বিদ্যমান ইস্যুগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে তারা একমত পোষণ করেন।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীকে সেদেশে সফর করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।