মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে গেল ১৯ দিনে (২০ আগস্ট-৭ সেপ্টম্বার) ২ লাখ ৪১ হাজার ১৭৭ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। বিশেষ করে পর্যটন এলাকাগুলোতে কড়াকড়ি নির্দেশনা দেয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘ সময় মৌলভীবাজারের পর্যটন এলাকাগুলো বন্ধ থাকে।
লকডাউন উঠার পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আসতে শুরু করে। প্রতিদিন পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিশেষ করে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের আনাগোনা বেশি বেড়ে যায়।
২০ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশ করেছেন ৫ হাজার ৩৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পর্যটক, যাদের প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক পর্যটক প্রবেশ করেছেন ৭৪২ জন, যাদের প্রবেশ ফি ছিল ২০টাকা করে। সেই সঙ্গে ৪ জন বিদেশি প্রবেশ করেছন, যাদের প্রবেশ ফি ছিল ৫০০ টাকা করে। এ ছাড়া গাড়ী পার্কিংসহ সব মিলিয়ে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৭৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
লাউয়াছড়া উদ্যানের ইকো ট্যুর গাইড সাজু মার্চিয়াং জানান, প্রতিদিনই চট্টগ্রাম, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পর্যটকরা লাউয়াছড়ায় আসছে। কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে কেউবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আবার অনেক এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসছে।
তবে অনেক পর্যটক স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। যদিও পর্যটন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন বলছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জাতীয় উদ্যানে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষণিক উপস্থিত রয়েছে তাদের।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, গত ২০ আগস্ট থেকে এই উদ্যান খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪১ হাজার ১৭৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এখানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানি রাখা হয়েছে। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে উদ্যানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।