ফটোসংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরেক মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন অভিযোগপত্রটি বুধবার গ্রহণ করে আগামী ২০ অক্টোবর শুনানির জন্য তারিখ রাখেন। ওইদিন সাংবাদিক কাজলের উপস্থিতিতেই শুনানি হবে। মামলাটিতে কাজলই একমাত্র আসামি।
এর আগে গত ১৪ মার্চ ঢাকার মুখ্যমহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা অভিযোগপত্রটি জমা দেন। মোট নয়জন সাক্ষীকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাজলের বিরুদ্ধে অপর এক মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। ওই অভিযোগপত্রের ওপরও শুনানির দিন রাখা হয়েছে আগামী ২০ অক্টোবর।
শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটির আসামির তালিকা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩১ জনকে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম।
অব্যাহতি পাওয়া অন্য ৩০ আসামি হলেন দৈনিক মানবজীবনের রিপোর্টার আল-আমিন, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মো. মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালেহ আহমেদ, জসিম উদ্দিন, মো. খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মো. মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি।
গত বছরের ৯ মার্চ মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত ৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২ মার্চ মানবজমিন পত্রিকায় মতিউর রহমানের নির্দেশে রিপোর্টার আল-আমিন ‘পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার একজন করে সংসদ সদস্যের পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
অন্য আসামিরা তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাপিয়ার সঙ্গে জড়িত মর্মে মন্ত্রী, এমপি, আমলা এবং ব্যবসায়ীসহ অনেকের নাম প্রকাশ করেন। যার মধ্যে মামলাটির বাদী সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের নামও ছিল।