অসত্য তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বৃহত্তর সমস্যা ডেকে আনে জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, এ সংকট সমাধানে দারিদ্র্য, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি মানসিকতা ও চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় মঙ্গলবার রাতে পঞ্চম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের ‘কাউন্টারিং মিসইনফরমেশন অ্যান্ড হেইট স্পিচ রিকয়ার্স স্ট্রঙ্গার রেগুলেশন্স’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় এ বৈশ্বিক সম্মেলনে বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আছেন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, রুমানা আলী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
স্পিকারদের বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দিতে গত রোববার অস্ট্রিয়ায় যান তারা।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ‘অসত্য তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বৃহত্তর সমস্যা ডেকে আনে। এই সমস্যা সমাধানে দারিদ্র্য, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদি নিরসন এবং প্রচলিত ধারণা, মানসিকতা ও চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার। প্রবীণ প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছড়িয়ে দেবার পাশাপাশি নব প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।’
এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শক্তিশালী পারিবারিক কাঠামো যথাযথ শিক্ষার জন্য জরুরি।’
অসত্য তথ্য মানুষ ও সমাজকে ভুল পথে চালিত করে জানিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, ‘সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য গঠনমূলক মত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। বাক ও মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সত্য প্রচারে অধিকতর কার্যকর ও উদ্ভাবনী সমাধান অন্বেষণ করতে হবে।’
ভুল তথ্য প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া না গেলে আরও শক্তিশালী আইন প্রণয়নের প্রয়োজন বলেও মত দেন স্পিকার।
আলোচনায় আর্জেন্টিনার সিনেটের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া লেদেসমা আবদালা, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট রিক ডিমস, নাইজেরিয়া হাউজ রিপ্রেজেনটেটিভ স্পিকার ও. হাকিম গাজাবিয়ামিলা ও রোমানিয়া সিনেটের প্রেসিডেন্ট আনকা ডানা ড্রাগু বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।