ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চলতি মাসেই খুলে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ছাত্রলীগ। ঢাবি প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের এক ভার্চুয়াল সভায় মঙ্গলবার রাতে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন ছাত্রলীগ নেতারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্য সংগঠনগুলোর সহযোগিতা চান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের তালিকাভুক্ত ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানীও ছিলেন।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সময়সীমা এগিয়ে সেপ্টেম্বরে নিয়ে আসতে আমরা প্রস্তাব করেছি। কারণ অক্টোবরে শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া নিয়ে সংকটের মধ্যে পড়তে হতে পারে।
‘সব শিক্ষার্থীর জন্য টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হলে সিট নিশ্চিত করা, আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা, শিক্ষার্থীদের জন্য রিকভারি ক্লাসের ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দিয়েছি। গণরুম বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে চেয়েছি।’
সব ছাত্র সংগঠনকে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণ করতে ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান এ ছাত্রলীগ নেতা।
প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ছাত্রলীগ সেপ্টেম্বরেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কতটা দ্রুত খোলা যায়, সে বিষয়টি আমরা দেখব। খোলার তারিখ ঠিক করতে ১৫ সেপ্টেম্বর প্রভোস্ট কমিটির সভা হবে। আশা করছি সেদিন খোলার তারিখ ঠিক করতে পারব।
‘ভার্চুয়াল সভায় ছাত্রসংগঠনগুলোকে বলা হয়েছে তারা শিক্ষার্থীদের যেন করোনার টিকা নিতে উদ্ভুদ্ধ করে। গণরুম না রাখার যে প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সেটিকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’