আদালতের নির্দেশে শেল্টার হোমে রাখা ২০ বছর বয়সের এক তরুণীকে নিজ জিম্মায় স্বাধীনভাবে থাকার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
যশোর আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে তরুণীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তরুণীর বাবা থাকেন বিদেশে। এদিকে মা তাকে বিয়ে দিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এ অবস্থায় মেয়েটি ঢাকায় পালিয়ে আসেন। একটি বুটিক হাউসে চাকরি ও একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তরুণী থাকছিলেন।
‘মেয়ের মা গত ২৩ মে বুটিক হাউসের মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলার আবেদন করেন। এর আগে তরুণী তার মায়ের বিরুদ্ধে গত ২৫ জানুয়ারি বনানী থানায় একটি জিডি করেছিলেন।’
মায়ের আবেদনের সূত্রে যশোরের আদালত আদেশ দিলে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তরুণীকে যশোর আদালতে হাজির করে। গত ২৪ জুন মেয়ের জিম্মা নিতে মায়ের করা আবেদন এবং নিজ জিম্মায় থাকতে মেয়েটির করা আবেদন খারিজ করে দেয় যশোরের আদালত। মেয়েটিকে শেল্টার হোমে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। সেই থেকে তরুণী বেকুটিয়া শেল্টার হোমে রয়েছেন।
যশোর আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে তরুণীর পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মেয়েটির বক্তব্য শোনে। এরপর মঙ্গলবার তার আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট।
আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ জানান, হাইকোর্টের এ আদেশের পর তরুণী নিজ ইচ্ছায় যেকোনও জায়গায় থাকতে পারবেন।