নারীদের সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে পুলিশ। জেন্ডার সংবেদনশীল পুলিশ পরিষেবা নিশ্চিতে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ কথা জানিয়ে নারীদের আরও অধিকার সচেতন হতে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) তিন বছর মেয়াদি একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এ-সংক্রান্ত প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন এবং বিপিডব্লিউএন'র ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তা আপলোড করেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হল অফ ইন্টিগ্রিটিতে মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. বেনজীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো। যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ইউএন উইমেনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার জেন টাউন্সলে।
বিপিডব্লিউএনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশে নারী সদস্যদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কর্মপরিবেশ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ জন্য নারী সহকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য পুরুষ সহকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। নারীদেরও অধিকার সচেতন হতে হবে।
‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সকল থানায় নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে। সেখানে ভিকটিম নারী ও শিশুদের সহায়তায় পুলিশ কাজ করছে। ভবিষ্যতে নারী ও শিশুর কল্যাণে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বেগবান করা হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিংয়ের শিকার নারীদের সহায়তায় পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ফেসবুক পেজ চালু করেছে। নারীরা এ পেজের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ জানাতে পারছেন। নারী পুলিশ সদস্যদের দিয়েই এ পেজটি পরিচালনা করা হয়, ফলে এখানে নারীরা সহজেই তাদের সমস্যা এবং অভিযোগের কথা তুলে ধরতে পারছেন।’
পুলিশে নারীর সর্বোচ্চ অবদান নিশ্চিত করা, পুলিশের সকল পদ ও ইউনিটে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, নারী পুলিশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সমর্থন, পুলিশে নারীদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, জেন্ডার সংবেদনশীল পুলিশ পরিষেবা দেয়া এবং সমাজে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বিপিডব্লিউএন। এ জন্য সংগঠনটি তিন বছর (২০২১-২০২৩) মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ তাদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, ‘বিপিডব্লিউএন ১৫ হাজার নারী পুলিশ সদস্যের এক বিশাল পেশাজীবী সংগঠন। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে। পুলিশে নারী সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরিতে সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’