অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলার ২০টি দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতীরবর্তী এলাকা এবং মূল ভূখণ্ডের বাইরের দ্বীপচর ২ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভোলার গঙ্গাকীর্তি, বলরামসুরা, মদনপুর, মাঝের চর, রাজাপুর, কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, কলাতলীর চর, কচুয়াখালীর, মনপুরা, চর যতিন, চরজ্ঞান, সোনার চর, চর শাহজালালসহ অন্তত ২০টি দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই সব এলাকার মানুষ।
জোয়ারের পানির চাপে ভোলার ইলিশার দুটি ফেরিঘাট তলিয়ে গেছে।
চর পাতিলা ইউপির সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষেত, খাল, বিল ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা এরশাদ ফরাজি জানান, দুই দিনে জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গঙ্গাকীর্তি, কালীকীর্তি ও বলরামসুরা গ্রামের মানুষ। পুরো এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানিতে রাজাপুর বিলীন হচ্ছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘনার পানি বিপৎসীমায় ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।