বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুল-কলেজে ক্লাস হবে যে রুটিনে

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৩৫

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা একটি গাইডলাইন মূলক মৌলিক ক্লাস রুটিন তৈরি করছি। সেটি অনুসরণ করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুটিন ও ক্লাস পরিচালনা করতে হবে। খুব শিগগিরই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’

প্রায় ১৭ মাস পর খুলতে যাওয়া স্কুল-কলেজে কোন রুটিনে ক্লাস হবে তা নির্দিষ্ট করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার খোলার দিন থেকেই নতুন রুটিনে হবে ক্লাস।

স্কুল-কলেজের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে মঙ্গলবার একটি ‘মৌলিক রুটিন’ প্রণয়ন করেছে মাউশি। তা শিগগিরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা একটি গাইডলাইন মূলক মৌলিক ক্লাস রুটিন তৈরি করছি। সেটি অনুসরণ করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুটিন ও ক্লাস পরিচালনা করতে হবে। খুব শিগগিরই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’

মাউশি থেকে জানা যায়, নতুন ক্লাস রুটিনে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার চারটি ক্লাস নেয়া হবে।

২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও সপ্তাহে হবে চার ক্লাস। শনিবার ও রোববার হবে ক্লাসগুলো।

এছাড়া, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস সোমবার, ৭ম শ্রেণির মঙ্গলবার, ৮ম শ্রেণির বুধবার ও ৯ম শ্রেণির ক্লাস বৃহস্পতিবার নেয়া হবে। এসব শিক্ষার্থীদের সকল স্তরে প্রতিদিন দুটি বিষয়ের চারটি করে ক্লাস করানো হবে।

ক্লাস নিয়ে অনেকটা একই তথ্য দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে ৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তিনি জানান, যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্লাস এক দিন চলবে। একইভাবে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি প্রতিদিন এবং অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে এক দিন চলবে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই ছুটি শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

পরের দিন থেকে খোলা হবে মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিংবিষয়ক সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্টদের আগে থেকেই তাগিদ দিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন মনোচিকিৎসকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

আর শিক্ষামন্ত্রী বলে আসছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি তাদের আছে। করোনা পরিস্থিতি আর একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভাষ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত বেশি সময় বন্ধ থাকবে, ততই বাড়বে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

এ বিভাগের আরো খবর