বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণীকে ‘ধর্ষণ’: বাদীর পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৩৪

ইউপি সদস্য মো. দিদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাজচ্যুতির বিষয়টি সত্য। মামলায় শুধু ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মাতব্বরদের কেন আসামি করা হয়নি আমি জানি না। মামলার বাদী সেটা ভালো বলতে পারবেন।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার মাতব্বরের বিরুদ্ধে।

সালিশে ওই পরিবারকে একঘরে করার ঘোষণা দেন নুরুল আলম।

মঙ্গলবার ধর্ষিত তরুণীর ভাই নিউজবাংলাকে এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিয়ে করার কথা বলে আমার বোনকে ইকবাল হোসেন মানিক নামের এক ব্যক্তি একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই ব্যক্তি আমার বোনের মাধ্যমে কৌশলে আমাদের পরিবার থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে সব কিছু অস্বীকার করেন তিনি।’

‘এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ২১ আগস্ট আমাদের বাসায় সালিশ বৈঠক ডাকেন সমাজ সর্দার নুরুল আলম। সমাজের ৫০ জন ছাড়াও তার সঙ্গে বিচারক হিসেবে শিমুল ও রাজিব নামের আরও দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।’

তরুণীর ভাই আরও বলেন, ‘আমারা সমাজের সর্দারসহ অন্যদের কাছে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে সাহায্য চেয়েছি। তারা বলেছেন, উনি প্রভাবশালী, তার সঙ্গে লাগা ঠিক হবে না। আমরা ইউপি সদস্যকে জানাতে চাইলে তারা বলেন, গ্রামের বিষয়, গ্রামেই গোপন রাখতে হবে।

‘এসময় বিচারকদের মধ্যে শিমুল ও রাজিব নিষ্ক্রিয় থাকলেও সর্দার আমাদের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের পুরো পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি দ্রুত থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। রোববার সন্ধ্যায় ইকবাল হোসেন মানিককে একমাত্র আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করা হয়। এ দিন রাতেই পুলিশ মানিককে গ্রেপ্তার করে।’

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সালিশে উপস্থিত থাকা রাজিব।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দিদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাজচ্যুতির বিষয়টি সত্য। মামলায় শুধু একজনকে আসামি করা হয়েছে। মাতব্বরদের কেন আসামি করা হয়নি আমি জানি না, মামলার বাদী সেটা ভালো বলতে পারবেন।’

সমাজচ্যুতির ঘটনা নিশ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিনও।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, শোনার পরপরই থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি ওনাদের। এমন স্পর্শকাতর বিষয়ের বিচার তো ইউনিয়ন পরিষদে হয় না। তারা মামলা করেছে শুধু ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাই তাকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’

সমাজচ্যুতির বিষয়ে জানতে সমাজ সর্দার নুরুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সীতাকুণ্ড থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সমাজচ্যুত করার কোনো অভিযোগ করেননি ওনারা। পরে জেনেছি ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ওই সমাজপতিদের একটা সম্পর্ক ছিল। মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।’

সোমবার সকালে তাকে আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন ওসি।

এ বিভাগের আরো খবর