বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে আইনমন্ত্রীর মত

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৩

মতামতে কী লিখেছেন, এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘মতামত আমি কী দিয়েছি, সেটাতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। এখন তো আমি বলতে পারব না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে তিনি কী মতামত দিয়েছেন তা জানাননি।

এই আবেদনে মঙ্গলবার মতামত দিয়েছেন বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মতামত দিয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

মতামতে কী লিখেছেন, এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘মতামত আমি কী দিয়েছি, সেটাতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। এখন তো আমি বলতে পারব না।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যান। কোনোভাবে তাকে মুক্ত করতে পারছিল না বিএনপি।

আইনি লড়াই ও বিএনপির রাজপথের ‘আন্দোলন’ ব্যর্থ হওয়ার পর গত বছরের বছরের শুরুর দিকে খালেদাকে জেলের বাইরে আনতে পরিবার উদ্যোগী হয়।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর সময়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে দুটি শর্তে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয় খালেদাকে। পরে দফায় দফায় এই মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই মুক্তির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর আবেদন করল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে খালেদা জিয়া। এই সময়ে যোগ দেননি দলীয় কোনো কর্মসূচিতে। লন্ডনে থেকে দলের দিক-নির্দেশনা নিচ্ছেন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পর গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই আছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হন তিনি। গত ১৪ এপ্রিল তার করোনায় আক্রান্তের খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন খালেদা। পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৯ মে তার করোনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসে।

তারপরও শারীরিক সমস্যা থাকায় প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে থাকতে হয় খালেদা জিয়াকে। কিছুদিন সেখানকার করোনারি কেয়ার ইউনিটেও (সিসিইউ) রাখা হয়েছিল তাকে। ৫৪ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন গুলশানের বাসায় ফেরেন আসেন তিনি।

খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে দল থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর