বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ই-অরেঞ্জের সোহেলকে ফেরানো ‘কঠিন নয়’

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০৫

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতে মামলা হওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অনিশ্চিত। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি। এভাবে আনা সম্ভব না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করবে।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে থাকা বন্দিবিনিময় চুক্তির অধীনে ভারতে আটক ই-অরেঞ্জের কথিত মালিক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চাননি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা।

যদিও ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম ৫ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘ভারতে গ্রেপ্তার পুলিশ ইন্সপেক্টর সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি এত সহজ নয়। তবু আশা করছি, দ্রুত একটি ফল পাওয়া যাবে।’

অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব আনোয়ার হোসেন ৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-ভ্যালির মতো ই-অরেঞ্জ সম্পর্কেও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে দুদক পদক্ষেপ নেবে।

সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে আটক করা হয় বলে ৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী ‘আমাদের দেশে কোনো বিচারক, হাকিম, ট্রাইব্যুনাল বা এ ধরনের অথরিটি ভারতের কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করলে আমরা তার জন্য বহিসমর্পণের সুপারিশ করতে পারব।’

আবার ‘পরোয়ানা জারি হয়েছে এমন কোনো বাংলাদেশি ভারতে থাকলে ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। একইভাবে ভারত সরকার পরোয়ানা জারি থাকা কাউকে চাইলে আমরা তাকে হস্তান্তর করব।’

তবে ডিএমপি কমিশনার অনিশ্চয়তার কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘ভারতে মামলা হওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত না। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি। আনা সম্ভব না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি করে ২০১৩ সালে৷ এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আটক উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া ও তার দুই সহযোগীকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয় ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর৷ আবার নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার আসামি নুর হোসেনকে একই বছরের ১২ নভেম্বর ফেরত দেয় ভারত।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু ভারত ও থাইল্যান্ডের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে৷ যাদের সঙ্গে চুক্তি নেই, তাদের সঙ্গে কেস টু কেস ডিল করা হয়৷ এটিকে ‘মিউচুয়্যাল লিগ্যাল অ্যাগ্রিমেন্ট ট্রিটি’ বলে৷

যেমন বঙ্গবন্ধুর খুনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহিষ্কার করে৷ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চুক্তি না থাকলেও পুশব্যাক পদ্ধতিতে তারা তাকে ফেরত পাঠায় এবং ফাঁসিও কার্যকর হয়।

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার তদন্ত চলছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধান তিন আসামি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।

সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন।

রাসেলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, গত কয়েক মাসে সোহেল রানা ই-অরেঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তার অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। বেশ কিছু ব্যবসায়িক খাতে অরেঞ্জ বাংলাদেশের বিনিয়োগ রয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে সোহেল টাকা তুলেছেন এটা শুনেছি। তবে তার পালিয়ে থাকায় বোঝা যাচ্ছে তিনি এর সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে করা মামলা গুলশান থানা তদন্ত করছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর