ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সালিশ বৈঠক ডেকে ২৫ বছরের এক যুবকের সঙ্গে ৫৫ বছরের এক নারীর বিয়ে দিয়েছেন গ্রামের মাতবররা।
উপজেলার ১১ নম্বর বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে।
বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছেন এলাকার কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, কনে শিরিন আক্তার ও বর ফারুক হোসেন দূর সম্পর্কের দাদি-নাতি বলে বিয়ে পড়াতে গিয়ে জেনেছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫৫ বছরের শিরিনের স্বামী মারা যান ৫ বছর আগে। তিনি নিজ বাড়িতে একাই থাকেন। সে বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকের সঙ্গে তাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেন প্রতিবেশীরা। বিষয়টি তখন দুই পরিবারেই জানাজানি হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের মাতবর ও ইউপি সদস্যরা সালিশ বৈঠক ডাকেন শুক্রবার। সেখানে তাদের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিয়ের কথা শুনে ফারুক পালিয়েও যান।
তখন সালিশকারীরা শিরিনকে ফারুকের বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন। স্বজনদের মাধ্যমে রোববার ফিরিয়ে আনা হয় ফারুককে। ওইদিনই আবার সালিশ ডেকে সোমবারই বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গ্রামের মাতবর বা সালিশকারী কারও নাম জানাতে রাজি হননি এলাকার কেউ।
ওই যুবকের বাবা আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই নারী তো আমার ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। আমার ছেলেও চলে যায়। তারপরও সালিশে থাকা লোকজন জোর করে বয়স্ক নারীর সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে দিল।’
তিনিও সালিশকারীদের নাম জানাতে চাননি।
এ বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় গেছেন তাও স্বজনরা জানাতে চাননি। কবে ফিরবেন তাও তারা জানাননি।
বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল জানান, তিনি অসুস্থ। তিনি কিছু জানেন না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ঘটনাটি সত্য। তবে বিয়ে নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।