বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যার চেয়ে নদীভাঙনে দুর্ভোগ বেশি

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৮

সাম্প্রতিক ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের ৩০০ মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

বন্যার পানি কমতে থাকায় জামালপুরের তিন উপজেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। কয়েক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভেঙে গেছে জামালপুর-খোলাবাড়ি পাকা সড়কের ৩০০ মিটার।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ভাঙনের কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৬৫টি পরিবার, এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০টি পরিবার শেষ সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে খোলা আকাশের নিচে।

এ ছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে এসব এলাকার অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা। এসব রক্ষায় ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করার দাবি এলাকাবাসীর। তবে ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ইসলামপুর উপজেলা

জেলার ইসলামপুর উপজেলার হালিমা বেগম জানান, নদীভাঙনে এ পর্যন্ত ৭ বার ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তিনি। শেষ ঠাঁই হয়েছিল উত্তর সিরাজাবাদ গ্রামে। সেই ঠিকানাও বিলীন হয়ে গেল এবারের নদীভাঙনে। পরিবারের ৮ জন সদস্যকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ওপরে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা

এদিকে গত কয়েক দিনের ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের ৩০০ মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

খোলাবাড়ি সড়কের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা বলেন, ‘হাজার লোকের চলাচল এই রাস্তায়। দুই দিনে সব তছনছ হয়ে গেল।’

বকশীগঞ্জ উপজেলা

অন্যদিকে টানা ২০ দিনের ভাঙনে বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলক্ষিয়া ইউনিয়নের কুশলনগর গ্রামে বসতবাড়ির পাশাপাশি প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ভাঙনের ১৫ দিন পরও তা প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশের বাঁধ দিয়েছেন। তবে তাতেও কমছে না ভাঙন। তাই দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কুশলনগর গ্রামের বাসিন্দা ছামিউল হক বসির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ করে নদীতে বাঁশের বাঁধ দেয়া হয়। দুই-তিন দিন আগে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অনেকে এই অবস্থা দেখে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেননি।’

তবে সম্প্রতি উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী খানপাড়া গ্রামে দশআনী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন প্রতিরোধে ১৫ দিন আগে সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের সাত দিনের মাথায় তা নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আসাদুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন, ‘নদীর পাড়ে ১৩ মিটারের মধ্যে ৫ মিটারের বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। তারপর সাত দিনের মাথায় আবারও ভাঙন শুরু হলে আমার ঘরবাড়ি নদীতে চলে যায়। যদি কাজে অনিয়ম আর দুর্নীতি না হতো তাহলে আজকে আমার সব থাকত।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, অতিরিক্ত স্রোতের কারণে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা যাচ্ছে না। পানি কমলে কাজ শুরু হবে।

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরও জানান, ভাঙন প্রতিরোধে যে জায়গাগুলোতে কাজ করা হয়েছে তার বাইরে ভাঙন শুরু হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম বা দুর্নীতির সুযোগ নেই।

এ বিভাগের আরো খবর