রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে কিশোরদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সানোয়ার হোসেন (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আচারওয়ালার ঘাট এলাকায় সোমবার রাত ৮টার দিকে কোপে আহত সানোয়ারের মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
সানোয়ার কামরাঙ্গীরচরের বাঁশতলা এলাকায় জাবেদ নামের একজনের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। তার বাবার নাম ওমর চান। দুই ভাইয়ের মধ্যে সানোয়ার ছিলেন বড়।
পরিবারের সদস্য ও পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়, রাতে আচারওয়ালার ঘাট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে ১৫ থেকে ২০ কিশোর সানোয়ারের পথ রোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় কিশোররা।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে সানোয়ারের বাবাসহ স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তারা। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচা সোহেল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাতিজা মাস্কের ব্যবসা করে। সে রাতে কেন ওখানে যায়, এটা আমরা বলতে পারব না। কিন্তু যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের নাম বলতে পারব না। তারা ওই এলাকার চিহ্নিত।
‘যারা ওকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন তারাই বলতে পারবে এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত। তারা যে কেউ হোক না কেন, যে দলেরই হোক, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, যারা ভুক্তভোগীকে ঢামেকে নিয়ে আসে, তাদের মধ্যে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানাকে অবগত করা হয়েছে। সানোয়ারের মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।