বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যাকবলিত ২১ বিদ্যালয়ের কী হবে

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:২২

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৪১৯টির মধ্যে ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪টি, পাংশায় ৩টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৯টি এবং কালুখালী উপজেলায় ৫টি বিদ্যালয় রয়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীর পানি বাড়তে থাকায় রাজবাড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানিতে তলিয়ে থাকা এসব বিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে কীভাবে খুলবে তা নিয়ে শঙ্কিত বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তবে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব এলাকার পানি নেমে যাবে। তা না হলে পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব‍্যবস্থা নেয়া হবে।সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়টি পদ্মা নদী থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে অবস্থিত। দোতলা ভবনটিতে গিয়ে দেখা যায়, এর চারপাশে হাঁটুপানি। এর মধ্যে ভবনের নিচতলা বন্যার্তদের জন্য সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে খুলে রাখা হয়েছে।

একই অবস্থা মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের। বন‍্যার পানি ঢুকে পড়েছে শ্রেণিকক্ষে।

পানিতে তলিয়ে থাকা ৬ নম্বর কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাশ জানান, পানি এখন কমতে শুরু করেছে। পানি আর না বাড়লে নির্ধারিত দিনেই স্কুল খোলা যাবে। তবে পানি বাড়লে কী হবে তা তিনি এখনও জানেন না।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে দোতলায় ক্লাস নেয়া হয়। নিচতলায় শুধু প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস হয়। এই শ্রেণির পাঠদান শুরুর নির্দেশনা আসেনি।’গোপালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন পর ১২ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বন্যার কারণে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। বিদ‍্যালয়ের চারপাশে পানি উঠে গেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশপাশ এবং শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছে।বরাট ইউনিয়নের ফজলু মোল্লার এক মেয়ে কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ১২ তারিখ থেকে স্কুল খোলার কথা থাকলেও স্কুলে এখন হাঁটুপানি। এর মধ্যে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। আরেক অভিভাবক বৃষ্টি খাতুন জানান, তার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ‍্যালয়ে বন‍্যার পানি ওঠায় স্কুল খুললেও তিনি ছেলেকে পাঠাবেন না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪১৯টির মধ্যে ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪টি, পাংশায় ৩টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৯টি এবং কালুখালী উপজেলায় ৫টি বিদ্যালয় রয়েছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমীন করিম জানান, আগামী এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে বন্যার পানি নেমে গেলে ক্লাস শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর