ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ‘গণরুম’ না রাখার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে যেসব গণরুম ছিল সেসব রুমে বসানো হচ্ছে খাট।
বিষয়টি হল প্রভোস্ট ড কে এম সাইফুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রভোস্ট কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে গণরুমগুলো খালি করে সেগুলোতে খাট বসানো হবে। আমাদের হলে সাতটা গণরুম ছিল। প্রতিটা রুমে চারটা করে খাট বসানো হচ্ছে। কয়েকটা রুম বাকি আছে। সেগুলোতেও কয়েকদিনের মধ্যে খাট বসানো হবে।’
সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘গণরুমে কাদের এসব খাট দেয়া হবে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করেছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের শুরুতে অনেক অছাত্রের সিট বাতিল করা হয়েছে। এখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রথম বর্ষ থেকে সিট দেয়া হবে। এসব সিট প্রথম বর্ষের ত্রিশ শতাংশ শিক্ষার্থী বরাদ্দ পাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের যে গণরুম সেখানে কোনো খাট বসানো হবে না বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল বাছির।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হলের যে দুটি রুমকে গণরুম বানানো হয়েছে তার একটি গেমস রুম। অন্যটি ডিবেটিং ক্লাব। এখন থেকে এসব রুম যে কাজে ব্যবহার করার কথা সে কাজেই ব্যবহার হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘গণরুম নামক যে অপসংস্কৃতি এটা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকে সেজন্য হল প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য এসব রুমে যারা থাকত তাদের প্রয়োজন ও মেধার ভিত্তিতে খালি রুমগুলো দিয়ে দেয়া হবে।’