পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীদের জামিন না দিলেও চিত্রনায়িকা পরীমনিকে কেন জামিন দেয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রূপ দেখে এই আদেশ দেয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকীতে ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক ও তার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় স্মরণ মঞ্চ ও জেনারেল ওসমানী জাতীয় পরিষদ।
আগস্টের শুরুতে গ্রেপ্তার পরীমনি ২৭ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন সম্প্রতি। তার সঙ্গে জাফরুল্লাহ তুলনা করেন গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।
রাজধানীর মতিঝিলে ওই ঘটনায় আটক নেতা-কর্মীদের জামিন না দেয়ার সমালোচনা করেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
বলেন, ‘পরীমনির বেলায় কী হলো? উনার রূপ দেখে কি ভুলে গেলেন?
‘তবে পরীমনির জামিন দেয়ায় বিচারকদের অভিনন্দন জানাই আমি। নূন্যতম বিবেক কাজ করেছে এখানে।’
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা থাকবে
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা থাকবে বলে প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে সতর্ক থাকতে বলেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় একটা খবর লিক হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে সরকারের কৌশল নিয়ে…। সরকার পুলিশকে বিশ্বাস করতে পারছে না, রাতের ডাকাতি করারও সুযোগ নাই। আপনারা কি মনে করেছেন, আগামীবার নির্বাচনেও এরা নতুন পরিকল্পনা করবে না।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানান জাফরুল্লাহ। সেই সরকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থাকতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন কেমন হতে হবে, তা নিয়েও কথা বলেন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘এমন নির্বাচন কমিশন হতে হবে যার কোমরে জোর আছে।’
আগামী নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাখাওয়াত হোসেনকে আনার প্রস্তাব করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বলেন,‘শুধু আমাদের কথায় তো হবে না, অন্যদেরও ভিন্ন প্রস্তাব থাকতে পারে। বদিউল আজম মজুমদারকে দায়িত্ব দেন, সুলতানা কামালকে দেন, আরও অন্যরাও থাক, এমনকি আমাদের ইকবাল সোবহান চৌধুরীকেও নিয়ে আসুন।’
আমলারা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে না
আমলারা প্রধানমন্ত্রীকে বোকা বানাচ্ছে এমন দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি প্রতিদিন টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ার কথা বলেন। কিন্তু গিয়ে দেখেন একজনও পড়েনি। জিজ্ঞাসা করে দেখেন।’