ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কহুয়া নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে এ ভাঙন শুরু হয়। এর আগে রোববার ঢলের পানিতে ফুলগাজী উপজেলার মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।
দুই বাঁধে ভাঙনে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
মুহুরী নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলগাজী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াঙ্কা দত্ত জানান, দুপুরের দিকে উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামে কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে পার্শ্ববর্তী আরও চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলো হলো সাতকুচিয়া, গুথুমা, সলিয়া, চিথলিয়া ও কোলাপাড়া। সেখানে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার ইউএনও ফেরদৌসি বেগম জানান, রোববার সকালে উজানের পানির চাপে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুরে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থান ভেঙে যায়। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামাড়া, জয়পুর, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বৈরাগপুর প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢলের পানিতে ফুলগাজী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুই উপজেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া পানিতে পুকুরের মাছ, ফসলের জমিসহ তলিয়ে গেছে অনেকের বাড়িঘর।
বাঁধ ভাঙার ঘটনায় পূর্ব ঘনিয়া মোড়া গ্রামের আব্দুর রহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সব বাঁধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যত টাকা বরাদ্দ হয়, সেই টাকা যদি বস্তায় ভরেও ভাঙনের স্থানে দেয়া হয়, তাহলে প্রতিবছর ভাঙন সৃষ্টি হতো না।’
একই গ্রামের বাসিন্দা ধনা মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে। আমনের রোপা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।