ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে অধিগ্রহণ করা জমির পাশে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিও দখলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১১ দশমিক ৩৪ একর ভূমিতে চার লেন সড়ক প্রকল্পের জন্য সমঝোতার ভিত্তিতে ২ দশমিক ৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। সিএস ও এসএ খতিয়ান অনুযায়ী এই জমির পরিমাণ ঠিক থাকলেও, বিএস খতিয়ানে চার শতক বাদ পড়ে।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করা হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওই জমিতে নাহার গার্ডেন নামের একটি বহুতল ভবনের মালিকপক্ষ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে। এতে সরকারি জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জমি দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল দখলে রেখেছে। এই জমিটি আমাদের অধিগ্রহণ করা। জমিটি দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাশের একটি জমি দখল করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন জমির মালিক উপজেলার সোরনামপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন ও আব্দুল খালেক।আব্দুর খালেক নিউজবাংলাকে জানান, মামলার বিবাদী রিপন মিয়াসহ তার সহযোগীরা তাদের ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণের জমি দখলে নিয়েছে। দখল করা জমি উদ্ধার এবং এই জায়গায় কেউ যেন স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য মামলা করেছি।অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বিবাদী কামরুজ্জামান রিপন (রিপন মিয়া) বলেন, ‘আমি কেন অন্যের জায়গা দখল করতে যাব। আমি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জায়গাও দখল করিনি।’
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, বিদ্যু উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণের জমিটি বিএস খতিয়ান অনুযায়ী রিটার্ন ১০ শতকের মালিকানা পেয়েছে নাহার গার্ডেন ভবনের মালিক। এটি কিভাবে হলো সেটি জানার জন্য ল্যান্ড ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।
‘প্রাথমিক অবস্থায় জমিটিতে কেউ যেন নির্মাণকাজ করতে না পারে সে জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’