জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ দলটির ৯ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান ডিএমপির গুলশানের বিভাগের উপ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে গোপন বৈঠক করছিলেন। এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য দেয়া যাবে না।’
তবে জামায়াত দাবি করেছে, পুলিশ তাদের ১০ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।
অন্যরা হলেন জামাতের নির্বাহী সদস্য ও ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, নির্বাহী সদস্য আব্দুর রফ, মনিরুল ইসলাম, কোরবান আলী, ইজ্জত আলী ও মোবারক হোসেন।
নেতাদের আটকের গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি দিয়েছে জামাতের প্রচার বিভাগ।
এতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য বিতর্কিত দলটির বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে বিদ্যমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠক থেকে সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের ৭ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে।’
বিবৃতি জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার আছে। এটা দেশের জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই।’