বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবরিনা-আরিফুলের মামলায় সাক্ষ্য পিছিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৩৫

সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তেজগাঁও থানায় করা এই মামলার সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করা ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় ও নারী আসামিদের আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য নেয়ার নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে মনগড়া বা ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নেয়ার জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখ ঠিক করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তেজগাঁও থানায় করা এই মামলার সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করা ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় ও নারী আসামিদের আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য নেয়ার নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সিএমএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।

৩১ মার্চ ওই মামলায় সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন প্রকৌশলী উজ্জ্বল সরকার। এ নিয়ে মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়। পরে সাক্ষ্য নেয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল তারিখ থাকলেও করোনার ছুটির কারণে আর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি৷

সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট এদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

পরে একই বছর ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।

২৭ আগস্ট বাদী কামাল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য নেয়া শুরু হয়।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছিল, জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন সাবরিনা।

২০২০ সালের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়।

ওইদিন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী। এসময় পুলিশ সদস্যদেরও মারধর করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।

এ বিভাগের আরো খবর