নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান ইশাদ ইসলাম। পড়ছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে। আর্থিক অনটনের কারণে হোঁচট খায় তার পড়ালেখা।
ছেলেটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। এর আগেও তিনি তাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
মেডিক্যালের বই ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইশাদের বাবা ইকবাল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা দেন জেলা প্রশাসক। এর আগে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সময়ও তিনি ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
ইশাদের বাড়ি ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়নিগ্রামে। তার বাবা ইকবাল হোসেন লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।
তিন ভাইবোনের মধ্যে মেজ এই ছেলেটি মাধ্যমিক পাস করেছে লালমোহন মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আর উচ্চ মাধ্যমিক ভোলা সরকারি কলেজ থেকে।
ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১৮২৮তম হন ইশাদ। এরপর ভর্তি হন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে।
নিউজবাংলাকে ইশাদ বলেন, ‘মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলাম। বাবার পক্ষে ভর্তির এত টাকা দেয়া সম্ভব ছিল না। আমার কথা জানতে পেরে ডিসি স্যার ভর্তির পুরো দায়িত্ব নেন। হতাশা থেকে তিনি আমাকে টেনে তুলেছিলেন।
‘আবারও তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার কারণেই আমি মেডিক্যালের এই ব্যয়বহুল পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছি।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা যখন শুনলাম আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ইশাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারছে না তখন আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।
‘এখন তার বইপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য আরও ২০ হাজার দেয়া হলো। প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে আরও সাহায্য দেয়া হবে।’তিনি জানান, অর্থের অভাবে কোনো মেধাবী মুখ যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য ভোলা জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে। শিক্ষার প্রসারসহ যে কোনো মানবিক সহায়তা দেয়া অব্যাহত থাকবে।