বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় টানা ৫ সপ্তাহ কমল মৃত্যু, শনাক্ত

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:২৪

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে করোনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। আর নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এ সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে টানা ৫ সপ্তাহ ধরে মৃত্যু ও শনাক্ত কমছে।

করোনা সংক্রমণ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে কমে আসছে। সেপ্টেম্বরেও এই চিত্র অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে করোনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

আর নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এ সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে টানা ৫ সপ্তাহ ধরে মৃত্যু ও শনাক্ত কমছে।

সোমবার চলতি বছরের সংক্রমণের ৩৫তম সপ্তাহ (৩০ আগস্ট–৫ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়। এই সপ্তাহে মোট ৫৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হিসেবে এই সপ্তাহে মৃত্যু কমে এসেছে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৯১৯ জনের দেহে।

গত এক সপ্তাহে মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা কমে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এর আগে ২৩ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে করোনা নতুন রোগী ধরা পড়ে ৩১ হাজার ৫৩৯ জন। যা শনাক্ত হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। এ সময়ের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩৩ জনের। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।

এর আগে ১৬ থেকে ২২ আগস্ট করোনাভাইরাসে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৪৩ হাজার ৯৫ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৯১ শতাংশ কম শনাক্ত। এ সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয় ১১ হাজার ৭ জনের যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।

৯ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৬৫ হাজার ২০৭ জন। যা শনাক্তের হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এ সময়ের মধ্যে এই ভাইরাসে মৃত্যু হয় ১ হাজার ৫২৩ জনের। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে গত মার্চ থেকে। তখন বিশেষত সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী কয়েক মাস এটির দ্রুত বিস্তার ঘটে, যা দেশজুড়ে শঙ্কা ও চিকিৎসাসংকট তৈরি করে।

তবে পাঁচ মাস পর পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে। গত এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।

গত জুলাই মাসে দ্বিতীয় ঢেউ তার চূড়া স্পর্শ করে। তখন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, যা এখন ৯ শতাংশের ঘরে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেয়া লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন আড়াই শর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও বহুজন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্ভবত শেষ হতে চলেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তৃতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানার আশঙ্কা কিছুটা কম।

এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ও দেশের বিমানবন্দরগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার ক্ষেত্রে আমরা দেখছি সংক্রমণের ধারাটা একটু নিম্নগামী। করোনা যা পরীক্ষা হচ্ছে, তার ১০ শতাংশের নিচে শনাক্ত হচ্ছে। তবে এখনই আমরা বলতে পারব না, এটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সংক্রমণ যখন ৫ শতাংশের নিচে আসবে এবং এটা যদি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত একইভাবে চলে, তাহলে আমরা বলতে পারি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

‘তবে আশঙ্কার বিষয়টা অন্য জায়গায়। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আবার সংক্রমণ বাড়ছে। আমাদের এখনও দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমরা মনে করছি, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসবে। নিয়ন্ত্রণে আসার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পরে আবার কিন্তু নতুন ঢেউ আসার আশঙ্কা থাকে।

‘৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পরে যদি আবার সংক্রমণ বাড়ে তখন এটিকে আমরা আবার তৃতীয় ঢেউ বলব। ভারতেও আসার শঙ্কা রয়েছে। এটা বাংলাদেশেও আসতে পারে, যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলি। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে একেবারে উদাসীন হয়ে যাই, তাহলে কিন্তু আবার দেশে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেবে। এ কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে আবার অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর