বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের ডাকে ফেসবুক-ইউটিউবের সাড়া কম

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০০

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, ‘ফেসবুক-ইউটিউব চলে তাদের (উৎস) দেশের আইন দিয়ে। আমাদের কাছে যেসব কনটেন্ট আপত্তিকর, অসম্মানজনক বলে মনে হয়, তাদের কাছে সেগুলো তাদের দেশের আইনে আপত্তিকর বলে মনে হয়না। এজন্য তারা আমাদের অধিকাংশ অনুরোধ রাখে না। তারা আদালতের নির্দেশ কিংবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পক্ষ থেকে পদক্ষেপের কাগজপত্র দেখতে চায়।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট এবং আপত্তিকর কনটেন্ট সরানোর বিষয়ে ৭৪ থেকে ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের অভিযোগের বিষয়ে সাড়া দেয় না ফেসবুক-ইউটিউব।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে কনটেন্ট অপসারণ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি এ তথ্য জানায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি জানায়, গত এক বছরে তারা ফেসবুকের কাছে ১৮ হাজার ৮৩৬ লিংক অপসারণের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ফেসবুক ৪৮৮৮ টি সরিয়েছে। বাকি ১৩ হাজার ৯৪৮টি লিঙ্ক এখনও অ্যাকটিভ রয়েছে। সেই হিসাবে ৭৪ ভাগ ক্ষেত্রেই তারা অপসারণ করেনি।

অপরদিকে এক বছরে ইউটিউবকে ৪৩১টি কনটেন্ট সরিয়ে নিতে অভিযোগ করা হলে মাত্র ৬২ লিংক অপসারণ করেছে ইউটিউব। এখনও ৩৬৯ লিংক অ্যাকটিভ রয়েছে। এ হিসাবে ৮৫ শতাংশ লিংক সরায়নি ইউটিউব।

তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমে স্থাপিত সাইবার থ্রেট ডিটেকশন রেসপন্স (এসটিডিআর) সিস্টেমের মাধ্যমে স্পর্শকাতর ওয়েবসাইট, ব্লগ সরকার বন্ধ করতে পারে। গত এক বছরে সরকারের অনুরোধে সিটিআর সিস্টেমের মাধ্যমে ১০৬০টি লিংক বন্ধ করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন বিটিআরসিকে আইনের মাধ্যমে অনেক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির যথেষ্ট সক্ষমতা থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনেক বিষয়ে বিটিআরসির করার কিছু নেই। এখনও সে ধরনের সক্ষমতা অর্জন করেনি।

বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল কর্মকাণ্ড প্রতিদিন বাড়ছে। এখানে কার্যক্রম এত বিস্তৃত যে বিটিআরসির একার পক্ষে সেখানে কিছুই করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় করতে হবে। যেমন অপরাধ যদি হয় ফাইন্যান্সিয়াল সেখানে ফাইন্যান্সের কর্তৃপক্ষকেও বিটিআরসির মতোই সক্রিয় হতে হবে।

পৃথিবীর কোন দেশ এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়াকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ উদ্ভাবন করতে পারেনি। তবুও আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিরাপদ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি সন্নিবেশ করব।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, ‘ফেসবুক-ইউটিউব চলে তাদের (উৎস) দেশের আইন দিয়ে। আমাদের কাছে যেসব কনটেন্ট আপত্তিকর, অসম্মানজনক বলে মনে হয়, তাদের কাছে সেগুলো তাদের দেশের আইনে আপত্তিকর বলে মনে হয়না। এজন্য তারা আমাদের অধিকাংশ অনুরোধ রাখে না। তারা আদালতের নির্দেশ কিংবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পক্ষ থেকে পদক্ষেপের কাগজপত্র দেখতে চায়।’

কিন্তু তাদেরকে বুঝতে হবে তাদের দেশের আইন এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট ও আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট একই নয়।

এ বিভাগের আরো খবর