১৯৯২ সালে রংপুর জেলার ইব্রাহিম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় আসামি আবুল কালাম আজাদের। আত্মগোপনে চলে যান তিনি। নানা কৌশলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকলেও ২৯ বছর পর র্যাবের জালে ধরা পড়লেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদকে রোববার রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
সোমবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪-এর অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার গুটিবাড়ি সরকারপাড়া এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইব্রাহিমকে কয়েকজন মিলে কুপিয়ে হত্যা করে।
এতে মো. আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় ২০০৩ সালে রংপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আবুল কালাম আজাদসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।
১৯৯২ সালে মামলা হওয়ার পর থেকেই আবুল কালাম আজাদ পলাতক।
গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের নাম পরিবর্তন করে সেই নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন আবুল কালাম আজাদ। নির্মাণশ্রমিকের ছদ্মবেশ ধারণ করেন তিনি।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক বলেন, ১৯৯২ সালে মামলা হওয়ার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকেন। ২০০১ সালে তিনি চলে আসেন ঢাকায়। এরপর থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম হয়ে যায় আজাদ মিয়া।
এত বছর পর কীভাবে আবুল কালাম আজাদকে খুঁজে পাওয়া গেল, এ প্রশ্ন করা হলে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, পলাতক আসামি ধরতে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে তথ্য ও রিক্যুইজিশন আদান-প্রদান করে। ছয় দিন আগে মিঠাপুকুর থানার পক্ষ থেকে ওই আসামি ধরতে র্যাব-৪কে রিক্যুইজিশন দেয়া হয়।
এরপর গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদের অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব-৪। তাকে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।