নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের কাজে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলুর কাছে রোববার বিকেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেনিথ কনস্ট্রাকশনের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেন খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও ইলিয়াস সরকার। সোমবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযোগে বলা হয়, রাণীনগর এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স ম্যুরালের ঢালাইয়ের সময় ৮ হাজার ৫০০ টাকা, স্লাব করার সময় ১৫ হাজার টাকা ও বিলে সই করার সময় ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা নেন।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ শহিদুল হকের সইয়ের জন্য হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন ৪ হাজার টাকা নেন।
রাণীনগর এলজিইডির প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক (বামে), উপসহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স (মাঝে) ও হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন
হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণের শুরুর দিকে আগস্টের মাঝামাঝিতে ঠিকাদাররা খুশি হয়ে আমাকে কিছু টাকা দিয়েছিল। পরে আবার সেই টাকা ফেরতও নেয়।
‘এরপর তারা ওমর বক্স স্যারের রুমে যায়। সেখানে কোনো লেনদেন হয়েছে কি না তা আমি জানি না। আমি কোনো টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরাটাই মিথ্যা।’
উপসহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্সের দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজে অনেক অনিয়মের চেষ্টা করেছিল। তা সত্ত্বেও তিনি শতভাগ কাজ সঠিকভাবে আদায় করেছেন। সেই আক্ষেপ থেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
অভিযোগ পেয়ে চেয়ারম্যান দুলু এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত ও শুনানির জন্য বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষকে ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় আমার অফিসে ডাকা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’