রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ দিনে ১৩৮ জনের নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার কার্যকারিতাও স্থগিত করা হয়েছে।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি সোবহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদানের বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এ রিট করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন ফুয়াদ হাসান, রিপন কুমার বড়ুয়া ও সুপ্রকাশ দত্তসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিউজবাংলাকে জানান, গত ২৩ মে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি সোবহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদানসংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
তিনি বলেন, ‘ভিসি আব্দুস সোবহান বিদায়ের শেষ দিন গত ৫ মে যে নিয়োগ দিয়েছিলেন সে আদেশ স্থগিত করেছে আদালত। সেই সঙ্গে ২০১৭-এর শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা স্থগিত করেছে। আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর দুদককে ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে।’
শিক্ষাসচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, রাবির ভিসি, রেজিস্টার এবং সাবেক ভিসি সোবহানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এই আইনজীবী জানান, ক্যাব যেহেতু সেবাসংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে। সুতরাং শিক্ষাটাও একটি সেবামূলক কাজ। অনেক অভিভাবকের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে। সে কারণে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়েছে।
জনবল নিয়োগে অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিনিয়র সদস্য ড. প্রফেসর দিল আফরোজ বেগমকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ক্যাব।