রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে গাছ কেটে পাখি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।
নগরীর সাহেববাজারে সোমবার দুপুরে এই মানববন্ধন হয়। এ সময় হাসপাতালের গাছ কেটে পাখি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি জানান বক্তারা।
রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে-‘সেফ দি-ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ’, ‘রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ’, ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’, ‘বাংলাদেশ জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন-বিবিপিএফ’, ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস’, ‘এলিজ্যাবল ইয়ুথ ফর ইভোলিউশন-আই’ এবং ‘নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’ যৌথভাবে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর্স কমান্ডার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও সেভ-দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইভের প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান মিজান, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন রাজশাহী জেলার সভাপতি জামাত খান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ জোট রাজশাহীর আহ্বায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান রাজ, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী পিয়ারাসহ আরও অনেকে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে গত ৪ সেপ্টেম্বর একটি অর্জুন গাছ কাটায় সেখান থেকে পড়ে অর্ধ শতাধিক শামুকখোল পাখির বাচ্চা মারা যায়। ওইদিন দুপুরের পর ড্রেন নির্মাণের জন্য গাছটি কেটে ফেলেন শ্রমিকরা। এতেই মারা যায় পাখিগুলো। বেশ কিছু জীবিত পাখি নির্মাণ শ্রমিকরা জবাই করে বাড়ি নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, এখন বৃষ্টির সময় পানি জমে যাচ্ছিল। তাই সেখান দিয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছিল। নির্মাণের সময় সেখানে একটি গাছের অংশ পড়ে যায়। এরপর শ্রমিকরা শিকড় কেটে দেয়। তাতেই এটি পড়ে যায়। সেখানে পাখির বাসা ছিল। বড়গুলো উড়ে গেছে কিন্তু ছোটগুলো পড়ে গেছে। নির্মাণ শ্রমিকরা ধরে কিছু জবাইও করেছে। এটা একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা।
‘এটি নিয়ে আমি কথা বললাম। তারা বলছে, এটি পড়ে গেছে। তবে তারা পারত এগুলোকে আদর করে অন্য কোথাও রেখে দিতে। আমরা কেউ ছিলাম না, তখন এটি করেছে। এখন থেকে কোনো গাছপালার কিছু করতে হলে আমাদের লোক সঙ্গে নিয়ে করতে হবে।’
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, এই গাছ কাটার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। ড্রেন বড় করতে গিয়ে এটি পড়ে গেছে।