গ্রিন ট্রান্সফরমেশন তহবিলের (জিটিএফ) নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদ্যমান কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানায় রূপান্তরে সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে তহবিল গঠন করেছে, তার অর্থ এখন থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও পাবে।
খেলাপি ঋণ বেশি থাকায় এতদিন সরকারি ব্যাংকগুলো এই তহবিল থেকে অর্থ নিতে পারত না। ফলে এসব ব্যাংকের গ্রাহকদের কম সুদের এই তহবিল থেকে ঋণ নেয়ার সুযোগ ছিল না।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে এই তহবিলের নীতিমালা শিথিল করেছে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের অর্থ দিয়ে ‘গ্রিন ট্রান্সফরমেশন তহবিল’ গঠন করে। এই তহবিলে রয়েছে ২০০ কোটি ডলার ও ২০ কোটি ইউরো।
এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন করতে পারে। এই অর্থ দ্বারা সবুজ ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি করা যায়।
জিটিএফের নীতিমালায় বলা আছে, অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) মাধ্যমে রপ্তানিমুখী বস্ত্র ও চামড়া খাতের যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তুলতে এ তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা পাবে। এক্ষেত্রে পানির অপচয় রোধ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহার, কর্মপরিবেশের উন্নয়নসহ বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত খাতের সংশ্লিষ্ট মূলধনী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানি করতে এ সহায়তা দেয়া হবে।
৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদী এ সহায়তায় ১ বছর গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট এডি ৬ মাসের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ২৫ হারে ঋণ নিয়ে নিজস্ব খরচ মিলিয়ে গ্রাহকদের ঋণ দেবে। এক্ষেত্রে এডির নিজস্ব খরচ ১ থেকে ২ দশমিক ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। প্রতি ৬ মাস পর বাজার বিবেচনা করে এ হার পুননির্ধারণ করা হবে।