গ্রেপ্তার আতংকে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গ্রেপ্তার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কর্মস্থলকে অবহিত না করে পালিয়ে যাওয়া এবং অন্য দেশে গ্রেপ্তার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে।
সোহেলকে রোববার রাতে বরখাস্ত করা হয় জানিয়ে সোমবার সকালে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘থানার পরিদর্শক পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে থেকে এভাবে কাউকে অবহিত না করে অনুপস্থিত থাকা পুরো থানার কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। তা ছাড়া, পরে জানা গেছে তিনি অন্য একটি দেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
সোহেল রানা আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত মালিকও।
সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই সোহেল আড়ালে থেকে সব পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে সোহেল রানার প্রায় আড়াই কোটি টাকা উত্তোলনেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপর গত ২৮ আগস্ট ৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোহেল রানাসহ ই-অরেঞ্জের ১০ জন মালিক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন টিটু নামের একজন গ্রাহক। আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার মাঝরাতে গুলশান থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে।
পরের দিন বনানী থানায় নিজ কর্মস্থলে যোগ দেননি সোহেল রানা। আর শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, অনুপ্রেবেশের অভিযোগে দেশটির নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে আটক করেছে বিএসএফ।
সোহেলকে আটকের সময় তার কাছে পাসপোর্ট, কয়েকটি দেশের মুদ্রা, থাইল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেয়েছে বিএসএফ। ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মামলায় সোহেলকে তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে কোচবিহার আদালত।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ না হলেও পুলিশ থেমে নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
নিজ কার্যালয়ে রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ভারতে গ্রেপ্তার পুলিশ ইন্সপেক্টর সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি অত সহজ নয়। তবু আমরা আশা করছি, দ্রুত একটি ফল পাওয়া যাবে।’