নারায়ণগঞ্জ বন্দর মাধবপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় দুই মাসের শিশু ইমাম হোসেন। তখন তার মা সন্তান চুরি হওয়ার কথা জানিয়ে স্বজনদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির মরদেহ।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। ১৬ মাস পর মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, ইমামকে তার মা পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আলম রোববার রাতে নিউজবাংলাকে জানান, ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাধবপাশা এলাকায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ইমান হোসেন। শিশুটির মা খাদিজা আক্তার পিংকির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন।
পিংকি তাদের জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় তার ছেলে ইমাম চুরি হয়েছে। পরে স্বজনদের নিয়ে তিনি সন্তানকে খোঁজাখুজিও করেন। পরদিন সকাল ৭টার দিকে পিংকির বাড়ির পাশে পুকুরে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২১ এপ্রিল বন্দর থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা মো. রুবেল। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
তিনি আরও জানান, মামলার তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে ৬ শব্দের একটি ছোট কাগজ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। ওই কাগজে লেখা ছিল ‘বাচা গড়ে গড়ে চুরি করমু সাবথাব’।
সেই কাগজে লেখার সঙ্গে পিংকির লেখার মিল পাওয়া যায়। এর পর সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদে পিংকি জানান, তার স্বামী তাকে বার বার টাকার জন্য চাপ দিত। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উপহাস করত। তাই রাত সাড়ে ১২টার আগে ঘুমন্ত অবস্থায় ইমামকে পুকুরে ফেলে দেন তিনি।
পিবিআই’র নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, পিংকি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।