ফেনীর ফুলগাজীতে এক গৃহবধূকে সাপ দিয়ে নির্যাতন করার পর তার গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, উপজেলার পূর্বদরবারপুর গ্রামের সেকান্দর মৌলভী বাড়িতে রোববার দুপুরে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ওই গৃহবধূর মুখ, গলা ও হাতের কিছু অংশ ঝলসে যায়। এর আগে তাকে সাপ দিয়ে নির্যাতন করা হয়।
২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর নাম খালেদা ইসলাম অমি। তাকে নির্যাতনের মামলায় র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তারা হলেন, তারেক মজুমদার ও আবদুল্লাহ আল মিনার।
ফুলগাজী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করছেন।
তিনি জানান, তারেক র্যাব হেফাজতে আছেন। আর আবদুল্লাহ ফুলগাজী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গুরুতর আহত অমিকে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ অমিকে রেখে রোববার সকালে তার মা শাহেন আরা বেগমসহ অন্যরা বাড়ির বাইরে যায়। পরে তারা জানতে পারেন অসুস্থ অমিকে জানালা দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
অমি তাদের জানান, তার স্বামী পক্ষের দুইজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন।
ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, অ্যাসিডে ওই গৃহবধুর মুখ, গলা ও হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রায় ৫ বছর আগে ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুরের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে অমির সঙ্গে পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের প্রবাসী লিখন আহমেদের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে।
বিয়ের পর থেকে লিখনের মা ও ভাই-বোনরা মিলে অমিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। গত ৭ আগস্ট চিকিৎসার নামে সাপ দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়।
এরপর অমিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
এ ঘটনায় ৯ আগস্ট অমির মা ফুলগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অমির ননদ হাসিনা আক্তার ও ননদের স্বামী আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।