বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীর পাহাড়ে ভবন, প্রশাসন-আইনজীবী সমিতির বিরোধ 

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:১৮

চেম্বারের সংখ্যা বাড়াতে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি পরীর পাহাড়ে দুইটি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলা প্রশাসন ২ আগস্ট এগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। এরপর থেকে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি।

চট্টগ্রামে আদালত ভবন এলাকায় পরীর পাহাড়ে দুইটি ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি।

চেম্বারের সংখ্যা বাড়াতে সমিতি পরীর পাহাড়ে নতুন করে দুইটি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। জেলা প্রশাসন এগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ঘোষণা দিয়ে ২ আগস্ট গণমাধ্যমে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। পাশাপাশি ৮টি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দেয়। এরপর থেকে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দৃষ্টিনন্দন পরীর পাহাড়ের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় পরিকল্পনা ছাড়া অনুমোদন না নিয়ে বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা গড়ে উঠছে। এছাড়া রাস্তার ওপর যত্রতত্র পার্কিং, স্টেশনারি দোকান, খাবার হোটেলের কারণে পাহাড় সৌন্দর্য হারিয়ে ইট পাথরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও অগ্নিকাণ্ডের মত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় হতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেখা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধানের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এক সময়ের সৌন্দর্যকন্যা পরীর পাহাড়ের মত ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত এলাকা রক্ষা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি বিধান অমান্য করে পরীর পাহাড় এলাকায় কোন ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী, দখলবাজি, খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও নির্মাণ কাজে সহযোগিতা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

কেউ নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের মন্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে আদালত এলাকায় গাড়ির পার্কিং স্পেস বন্ধ করতে বাধা দেয়ায় প্রশাসন থেকে এ চিঠি দিয়েছে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত চত্বরে দেড়শ বছরের পুরনো পার্কিং স্পেস ছিল। এটা জেলা প্রশাসন, আইনজীবী ও বিচারকরা ব্যবহার করতেন। কিন্তু সৌন্দর্য বর্ধনের নামে পার্কিং বন্ধের চেষ্টা করে জেলা প্রশাসন। আমরা বন্ধ করতে না দেয়ায় জেলা প্রশাসক ক্ষিপ্ত হয়ে এসব করছেন।’

পরীর পাহাড়ে ভবন নির্মাণের বিষয়ে এএইচএম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘পরীর পাহাড়ে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন আছে। আরও দুটি নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। এই ভবন দুটিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সুবিধা না দেয়ার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে। অথচ ভবন নির্মাণের জায়গা ১৯৭৭ সালে সরকার থেকে লিজ নেয়া। তাছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) অনুমোদনও দিয়েছে।’

আদালত ভবন এলাকার পরীর পাহাড়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নতুন আদালত ভবন, মুখ্য বিচারিক হাকিম ভবনসহ আইনজীবীদের একাধিক ভবন ও সরকারি অফিস রয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালেও প্রধান সড়কের মুখে গেটের নামকরণ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবীদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

এ বিভাগের আরো খবর