সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা কার্ড বাণিজ্যে অভিযুক্ত পাবনার বেড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোতালেব সরকারকে বদলি করা হয়েছে।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুল কবির রোববার বিকেল ৪টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার এটি জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোতালেব সরকারকে নাটোরের লালপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে লালপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বেড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোতালেব সরকারকে রফিকুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। অন্যথায় ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে সরাসরি অব্যাহতি দেয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বেড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোতালেব সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার কার্ড বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তার বদলি চেয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে গত ১১ আগস্ট লিখিত আবেদন করেন উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার কার্ড বিনা মূল্যে বিতরণের কথা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সরকারের দেয়া বিভিন্ন ভাতার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসে মোবাইল ফোন নম্বর, ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড জমা দেয়া হতো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। সমাজসেবা কর্মকর্তা মোতালেব সরকার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অবগত না করে টাকার বিনিময়ে নিজের ইচ্ছেমতো তালিকা তৈরি করে ভাতার বই বিতরণ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, পুরোনো ভাতাভোগীদের বই ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্তির সময় মাঠকর্মীরা গোপনে নিজেদের আত্মীয়স্বজনের ফোন নম্বর বসিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও প্রমাণ মিলেছে । এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত পুরোনো ভাতার বই অনলাইন তালিকা থেকে বাতিল করে দিতেন তিনি।
অভিযোগকারী রূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জল বলেন, ‘মোতালেব সরকার বেড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রায় ৯ বছর ধরে কর্মরত। তার নিজ উপজেলায় দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেন। তিনি সবার সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন। আমরা তার বদলি চেয়ে আবেদন করেছিলাম।’