বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে 

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৫৬

বিদেশি বিশেষ ব্যক্তিরা শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে স্বল্প সময় ব্যবহার করে নিজ দেশে যাওয়ার সময় তা আবার ফেরত নিয়ে যান। এই সুবিধা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। একে কারনেট সুবিধা বলা হয়ে থাকে। এটি এক দেশের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে অন্য দেশে নিয়ে ব্যবহারের একটি বিশেষ সুবিধা।

কারনেট সুবিধায় আনা ১৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি ইলেকট্রনিক নিলামে (ই-অকশন) বিক্রি করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। দীর্ঘ ৮ বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা এসব গাড়ি অক্টোবরে নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

নিলামের জন্য রাখা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস, মিৎসুবিশিসহ বিশ্বের নামিদামী ব্রান্ডের গাড়ি।

বিদেশি বিশেষ ব্যক্তিরা শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে স্বল্প সময় ব্যবহার করে নিজ দেশে যাওয়ার সময় তা আবার ফেরত নিয়ে যান। এই সুবিধা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। একে কারনেট সুবিধা বলা হয়ে থাকে। এটি এক দেশের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে অন্য দেশে নিয়ে ব্যবহারের একটি বিশেষ সুবিধা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, বিভিন্ন সময় ৩১৫টি গাড়ি কারনেট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশে এসেছে। এসব গাড়ির অনেকগুলোই শর্ত অনুযায়ী পুনরায় রপ্তানি বা ফেরত নেয়া হয়নি।

শুল্ক আইন অনুযায়ী প্রবাসী, পর্যটক ও কূটনীতিকসহ বিশেষ ব্যক্তিরা কারনেট সুবিধার আওতায় বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে দেশে গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন। তবে বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় অবশ্যই গাড়িগুলো নিয়ে যেতে হবে।

কিন্তু অনেকেই ফেরত না নিয়ে কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে গাড়িগুলো বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে কাস্টমসের কড়াকড়ির কারণে কারনেটের আওতায় আনা অনেক গাড়ি বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নেননি সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিপুল জায়গা দখল রাখা ওই ১৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য গত ২৪ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস গোয়েন্দা ও নিলাম) সাদিয়া আফরোজ গাড়িগুলো ইলেকট্রনিক নিলামে (ই-অকশন) তোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত দেন।

কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, নিলামের জন্য রাখা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস, মিৎসুবিসির মতো দামি ব্র্যান্ড। কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনা অখালাসকৃত এসব গাড়ি নিলামের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। এর মাধ্যমে এসব গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। পরে দিনক্ষণ ঠিক করে এ মাসেই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার উপকমিশনার আল আমিন বলেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে ই-অকশন চাঙ্গা হবে। কারনেট সুবিধায় আনা ১৩০টি গাড়ি বিক্রির জন্য আগে কয়েক দফা নিলাম অনুষ্ঠিত হলেও, কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়া যায়নি। এতে ওই নিলাম বাতিল হয়।

‘ই-অকশনের ফলে প্রতিযোগিতামূলক দর পাওয়া যাবে। গাড়িগুলোর বাজারদর যাচাই-বাছাই করে পুনরায় ইনভেন্ট্রি করা হচ্ছে। এতে বর্তমান বাজারমূল্য পাওয়া যাবে। আবার কিছু গাড়ির দাম বেশি নির্ধারণ করা আছে, সেগুলোর মূল্যও বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করা হবে।’

কাস্টমসের নিলাম শর্ত অনুযায়ী, যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। টেন্ডারে অংশ নেয়ার সময় শিডিউলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ অথবা টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে হবে। আর ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে হবে।

প্রস্তাবিত দরের ১০ শতাংশ ব্যাংক ড্রাফট অথবা পে-অর্ডার দরপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়।

এ বিভাগের আরো খবর