বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত।
রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে শনিবার রাতে তার সঙ্গে দেখা করেন দিলারা। বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে ঘণ্টাখানেক সৌজন্যমূলক আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।
আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার দিলারা চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম জিয়া আর তার পরিবারের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক। সেই খাতিরেই একটা ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ছিল। ওনার শারীরিক অবস্থা জানতে, মূলত উনি কেমন আছেন সে কারণেই এই সাক্ষাৎ।’
খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলাপ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি নিজে তো রাজনীতি করি না। রাজনৈতিক আলাপ করতেও যাইনি। ওনার খোঁজখবর নিতেই গিয়েছিলাম। তবে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত।
‘এর আগেও মহাসচিবকে অ্যাপ্রোচ করেছিলাম যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাই। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন ম্যাডাম অসুস্থ। এবার আমি তাকে বললাম যে, অনেক দিনের জন্য দেশের বাইরে যাব, তার আগে একটু দেখা করব খালেদা জিয়ার সঙ্গে। এই জন্যই তিনি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমার হাজবেন্ডের মৃত্যুর পর একবার দেখা হয়েছিল। এবার অনেকটা ব্যক্তিগত সৌজন্য সাক্ষাতের বাইরে কিছু ছিল না।’
বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে দিলারা বলেন, ‘ওনার শরীর খুব একটা ভালো নেই, বিশেষ করে হাঁটা-চলাতে সমস্যা। তবে মেন্টালি তিনি খুব স্ট্রং। ওনার মধ্যে ডিসেন্সি আছে, কাউকে বকাঝকা করে তিনি কিছু বলেন না। এই যে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে কীসব হচ্ছে, উনি কোনো কটু কথা বলেননি।’
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা করতে যেতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার বিষয়েও তেমন কিছু বলেননি আসলে। তবে একজন চিকিৎসক তার নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন, এতেই তিনি খুব প্লিজড।
‘তবে আমার মনে হয় উন্নত চিকিৎসা দরকার, দেশের বাইরে নেয়া দরকার। দেশের কত যদু-মধু বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাহলে উনি কেন পারবেন না। এটা অন্যায়, একরকম জুলুমই বটে।’
আলাপের এক ফাঁকে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়েও খালেদা জিয়া কথা বলেন বলে জানান দিলারা। বলেন, ‘উনি আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এলে তিনি বলেছেন, আল্লাহই জানেন কী হবে..।’