রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী।
রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে এ সাজার দাবি করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মেদ।
আসামি নাইম আশরাফের পক্ষে তার আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (লিটন) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী ফারুক আহাম্মেদ নিউজবাংলাকে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
যুক্তি উপস্থাপনের সময় পাঁচ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
মামলার অন্যতম আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ এজলাস কক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে বসা ছিলেন।
গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
মামলার অপর চার আসামি হলেন- সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
৫ আসামিই জামিনে রয়েছেন।
গত ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
এর আগে ওই বছরের গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
পুলিশ প্রতিবেদনে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।