মামলার হাজিরা দিতে হবিগঞ্জ আদালতে যাওয়ার পথে আটজনকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে শহরতলির উমেদনগর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার কাঠখাল গ্রামের এলাজত মিয়ার লোকজনের সঙ্গে একটি জলমহাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের আফরোজ মিয়ার লোকজনের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মামলা চলছে।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আহত আফরোজ মিয়া জানান, দুপুরে জলমহাল মামলায় আফরোজ মিয়া ও তার লোকজন হাজিরা দিতে হবিগঞ্জে আদালতে যাচ্ছিলেন। উমেদনগর এলাকায় পৌঁছলে এলাজত মিয়া ও তার লোকজন তাদের গতিরোধ করেন। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাজত মিয়ার লোকজন হামলা চালান। তারা কুপিয়ে আটজনকে জখম করেন।
আহতরা হলেন মোছাব্বির মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, মোক্তাদির মিয়া, শ্যামল চন্দ্র দাশ, ওয়ালিদ মিয়া, মোসাহিদ মিয়া, আফরোজ মিয়া ও সাহিদ মিয়া। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এলাকার লোকজন আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোছাব্বির মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, মোক্তাদির মিয়া, শ্যামল চন্দ্র দাশ ও ওয়ালিদ মিয়াকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন রায় জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা বেশ গুরুতর।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।