মাদারীপুর সদরে ধর্ষণ মামলা করায় বাদীপক্ষকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার মামলা হয়। এরপর থেকেই আসামি পক্ষের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কিশোরীর মা।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে পানি আনতে বলেন তিনি। পুকুরে গেলে এক প্রতিবেশী তাকে পাউরুটি খাওয়ানোর কথা বলে। পরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
মেয়েটি বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এর পরপরই মেয়েটির মা সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই মামলার আসামিকে গ্রামের কোথাও দেখা যায়নি।
ওই কিশোরীর ভাই বলেন, ‘আমার বোনের নির্যাতনের বিষয় থানায় জানাইছি দেখে অনেকে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নিতে ভয় দেখাচ্ছে। মামলা না উঠালে আমাদের মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। আমরা কী বোনের নির্যাতনের বিচার পাব না? নাকি মামলা করে আমরাই ভয়ে থাকব?’
আসামির বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করেন। তার দাবি, তার স্বামী কোথায় আছেন তা তিনি জানেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) থোয়াই ছামং চাক নয়ন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। মেয়েটি এখন হাসপাতালে ভর্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা নেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করতে আমি কয়েবার এলাকায় গিয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’