বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মরদেহ ছাড়াই কবর দাবি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০২

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কারো লাশ না থাকা সত্ত্বেও সে স্থানকে কবর বলে চালিয়ে দেয়া যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, একইসঙ্গে অত্যন্ত অনৈসলামিক কাজ, যেটি বিএনপি করছে।’

মরদেহ ছাড়াই কোনো স্থানকে কবর বলে চালিয়ে দেয়া জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও ইসলামবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলছেন, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সেই কাজটিই করছে বিএনপি।

সরকারি সফরে ভারতের নয়াদিল্লীর পথে রওনা হওয়ার আগে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে রোববার সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘কারো লাশ না থাকা সত্ত্বেও সে স্থানকে কবর বলে চালিয়ে দেয়া যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, একইসঙ্গে অত্যন্ত অনৈসলামিক কাজ, যেটি বিএনপি করছে।’

জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবর নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশ কেউ দেখে নাই এবং তখনকার পত্রিকার কাটিং আমার মোবাইল ফোনেই আছে এবং পত্রিকায় লিখেছে কেউ জিয়ার লাশ দেখে নাই। তারেক রহমান লাশ দেখার জন্য খুব মিনতি করেছিল, তাকে দেখানো হয় নাই। খালেদা জিয়াও দেখেন নাই, কেউ দেখে নাই।’

১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তাকে সমাহিত করা হয় সেখানেই। পরে সেখান থেকে সরিয়ে জিয়ার দেহাবশেষ চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাহিত করার কথা জানানো হয় বিএনপি থেকে। দেহাবশেষ কফিনে করে আনা হয়েছিল, কিন্তু কফিনের মুখ তখন খোলা হয়নি।

জিয়াউর রহমানের মরদেহ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় যে প্রথম কবর দেয়া হয়েছিল বলা হচ্ছে, সেই কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সাক্ষী তখনকার চেয়ারম্যান জহির এখনও বেঁচে আছেন। তিনি বলেছেন, লাশ তোলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা জিয়ার লাশ দেখিনি। আসলে তারা পুরোপুরি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে।’

এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই এটির বিচার করবে। দ্বিতীয়ত, তারা যেহেতু দাবি করছে তারা প্রমাণ করুক। সে পথে তারা হাঁটে না বরং আগে বিশেষ বিশেষ দিনে তারা সেখানে যেত এখন প্রতি সপ্তাহে কারণে-অকারণে যায় এবং মাঝে মধ্যে মারামারি করে।’

সরকারের বিরুদ্ধে গণ ঐক্য গড়তে বিএনপির আহ্বানের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের ঐক্য তো সবসময় জঙ্গি-জামাত-মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে। যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। তাদের এই ঐক্য সবসময়ই ছিল, এখনও আছে। এতে কোনো রাখঢাক নাই। জাফরুল্লাহ সাহেব তালেবানদের কাবুল দখলের পর যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিই হচ্ছে বিএনপির অন্তর্নিহিত বক্তব্য।’

‘ক্লিনফিড’ ছাড়া বিদেশি সম্প্রচার বন্ধ

অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার করা যাবে না বলে আবারও জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

ক্লিনফিড নিশ্চিত করা হলে দেশে কোনো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারে বিদেশি কোনো বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য কোনো বাণিজ্যিক কনটেন্ট থাকবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল অ্যাটকো, টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর ও কেবল অপারেটররা।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটর, ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলাম এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে পয়লা অক্টোবর থেকে কেউ যদি ক্লিনফিড না চালায় এবং ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্স অনুযায়ী নিয়ম-কানুন না মানে তবে আমরা আইন প্রয়োগ করব বলে জানিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ডাউনলিংকের অনুমোদন পেয়েছে এবং ক্লিনফিড চালাচ্ছে না, দেশের আইন মানা তাদের দায়। সুতরাং তারা যদি আইন না মানে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ছাড়া, দেশি শিল্প এবং শিল্পীদের সুরক্ষায় বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পী প্রতি ২ লাখ টাকা এবং কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যদি সেই বিজ্ঞাপন প্রচার করে সেক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার পরিপত্র জারি হয়েছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা সেটিও প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।’

নয়াদিল্লী সফরকালে সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। সফর শেষে আগামী বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর