একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দালালির অভিযোগে ৯৬ জনকে আটক করেছে র্যাব।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিস, ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে রোববার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কেরানীগঞ্জ
বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান চালিয়ে ৫১ জনকে আটক করে র্যাব। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব-১০-এর আলাদা দল।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে ৩৬ এবং পাসপোর্ট অফিসে দালালির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে র্যাব।
পাসপোর্ট অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব।
ঢাকা মেডিক্যাল ও আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে দালাল সন্দেহে ৩০ জনকে আটক করেছে র্যাব-৩-এর একটি দল।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে র্যাব-২-এর একটি দল। সেখানে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছে।
র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক এএসপি ফজলুল হক জানান, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
অভিযানের নেপথ্যে
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বাইরে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা (সিসিটিভি) লাগিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দালালরা মনিটর করছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে সারা দেশে অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযানে নেমেছে।
‘পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ কার্যালয় ও সরকারি হাসপাতালসহ যেখানেই দালালদের দৌরাত্ম্য, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। অভিযানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।’