নেত্রকোণায় খালিয়াজুরীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাকা মেঝে দেবে সাত নেতা আহত হয়েছেন।
উপজেলা সদরের হাওর মালেক সিটি এলাকায় অবস্থিত ওই কার্যলয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা চলাকালে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম আবু ইছহাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হেকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুমন চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা জুয়েল ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিহারেন্দু দেব রায়।
ওসি জানান, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের আঘাত গুরুতর নয়।
আহত নেতা আবুল কালাম আজাদ জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রার্থিতা বাছাইয়ের জন্য দলীয় অফিসে বর্ধিত সভা চলছিল। তাতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অফিসের মেঝের একটি অংশ হঠাৎ প্রায় ৫ ফুট নিচের দিকে দেবে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন আরেকজনের ওপর গিয়ে পড়েন। এ সময় তিনিসহ ৭ জন আহত হন।
সেখানে উপস্থিত অন্য নেতা-কর্মীরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
আবুল কালাম আরও জানান, বেলা পৌনে ২টার দিকে খালিয়াজুরী কলেজে আবার সভা শুরু করা হয়।
ওসি মজিবুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ইয়াসিন খন্দকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সদরের প্রবেশদ্বার এলাকা সালিকা হাওরের পারে বালি দিয়ে ভরাট করে হাওর মালেক সিটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসটি বানানো হয় কয়েক বছর আগে। বর্ষায় হাওরের পানির তোড়ে অফিসের নিচ থেকে ভরাট করা বালিমাটি সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়। বিষয়টি কারও নজরে ছিল না।
‘আজ সভা শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মেঝে দেবে গিয়ে এই দুর্ঘটনা হয়।’
খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এতে শূন্য হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আগামী ৭ অক্টোবর নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে প্রার্থী দিতেই দলের স্থানীয় নেতারা কার্যালয়ে সভা করছিলেন।