বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়: পুলিশ

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:০৯

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভারতে গ্রেপ্তার পুলিশ ইন্সপেক্টর সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি অত সহজ নয়। তবু আমরা আশা করছি, দ্রুত একটি ফল পাওয়া যাবে।’

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হওয়া ই-অরেঞ্জের কথিত মালিক এবং বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

নিজ কার্যালয়ে রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভারতে গ্রেপ্তার পুলিশ ইন্সপেক্টর সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি অত সহজ নয়। তবু আমরা আশা করছি, দ্রুত একটি ফল পাওয়া যাবে।’

সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে আটক করা হয় বলে শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু ভারতে মামলা হয়েছে এ কারণে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে কি-না সেটি নিশ্চিত না। তবে ফিরিয়ে আনার রাস্তা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এটি অনেক সময় করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি ফিরিয়ে আনার জন্য। যদি এ মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয় তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করবে।’

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার তদন্ত চলছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধান তিন আসামি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।

সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন।

রাসেলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, গত কয়েক মাসে সোহেল রানা ই-অরেঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তার অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। অরেঞ্জ বাংলাদেশের বিনিয়োগ রয়েছে বেশ কিছু ব্যবসায়িক খাতে।

সোহেলের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শফিকুল। তিনি বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে সোহেল টাকা তুলেছে এটাতো জানা গেছে। আর সে যেহেতু এখন পালিয়েছে তাই বোঝাই যাচ্ছে সে এটার সঙ্গে ইনভলভড। তার নামে একটি মামলা হয়েছে, গুলশান থানায় সেটার তদন্ত চলছে। সেটার রিপোর্ট পেলে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর