করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কিছুদিন আগেও দেশজুড়ে হাসপাতালে ছিল চরম শয্যা সংকট। করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু স্বজনকে ভর্তি করতে বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছে মানুষ। বরিশাল বিভাগের এমন মুমূর্ষু রোগীদের ভিড় ছিল বরিশাল জেলার শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিভাগে কমতে থাকে করোনা রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালটির করোনা ইউনিটেও কমতে থাকে রোগীর আনাগোনা।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের হিসাবে, গত চার দিনে বিভাগে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা শতকের ঘরে যায়নি। এ কারণে শুধু শের-ই-বাংলা মেডিক্যালই নয়, বিভাগের অন্যান্য করোনা হাসপাতালেও কমেছে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগী।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, এ হাসপাতালে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী মারা যায়নি। তবে উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র জানায়, এ হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটের অবজারভেশন ওয়ার্ডে নতুন ৭ জনসহ ৩৪ এবং করোনা ওয়ার্ডে নতুন ৩ জনসহ ৪৩ রোগী চিকিৎসাধীন।
সেই হিসাবে এখন এ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ২২৩টি বেড খালি রয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ফাঁকা ছিল ২২৪টি বেড।
হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছরের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৯১ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮০৮ জন উপসর্গ নিয়ে এবং ২ হাজার ২৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে উপসর্গে থাকা ৯৪৮ জন এবং করোনাক্রান্ত ৪১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা ইউনিট থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৫ হাজার ৬৫৬ জন।
সাইফুল জানান, বিভাগীয় হিসাবে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৫ জন। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩১৫ জন।