ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়ালসড়কের কাজের অগ্রগতি দেখতে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বনানী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সাইট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে আমরা তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রকল্পের প্রথম ধাপ শেষ করতে পারব। ২০২৩ সালে শেষ হবে দ্বিতীয় ও পরের বছর তৃতীয় ধাপের কাজ।’
কাদের বলেন, ‘প্রথমে কাজের ফান্ডিং নিয়ে সমস্যা ছিল। এ জন্য কাজ শুরু করতে সমস্যা হয়। পরে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থাইল্যান্ড সফর করি।
‘সেখানে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে সফল আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়। এখন কাজের জন্য টাকার ঝামেলা নেই। ঠিক সময়েই কাজ শেষ হবে।’
প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের নকশা (মগবাজার থেকে শাহজাহানপুর পর্যন্ত) রেলওয়ের ভবিষ্যৎ প্রকল্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে রেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। যদি সত্যিই এমন সংকট হয়, তবে নকশা পরিবর্তন করা হবে।’
রাজধানীর যানজট নিরসনে নেয়া প্রকল্প ঢাকা এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়ালসড়কের কাজ চলছে ঢিমেতালে। ২০১১ সালের শুরুতে নেয়া হয় এ উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
ঢাকার উত্তর ও পূর্বের প্রবেশপথে যানবাহনের চাপ কমাতে এটি চালু হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের মাঝামাঝি। অথচ প্রথম ধাপের কাজ আগামী জুন মাসে শেষ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন সেতুমন্ত্রী।
তিন বছরের এ প্রকল্পটি শেষ হতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে, গত জুন পর্যন্ত এর কাজ হয়েছে ২৭ শতাংশের কম।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর ২০১৩ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও জমি অধিগ্রহণ ও বিনিয়োগ জটিলতায় কাজে ধীরগতি ছিল। জটিলতা ছিল প্রকল্পের অর্থায়নেও। এ ছাড়া নকশা পরিবর্তনের কারণেও বিলম্ব হয়।
সেতু বিভাগ জানায়, উড়ালসড়ক নির্মাণের কাজ করছে থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। ইতাল-থাই নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেয় সরকার। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালে, কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কাজ শুরুই হয়নি।
২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইতাল-থাই এ প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করবে, কিন্তু নির্মাণকাজের টাকা জোগাড় করতেই কোম্পানিটি লাগিয়ে দেয় ৯ বছর। এ ছাড়া নকশা বদল ও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শুরুতেই দুই বছরের মতো দেরি হয় এ প্রকল্পে।