পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হলো। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতেই সূচক অতিক্রম করল ৭ হাজার পয়েন্ট।
এর ফলে প্রায় সাড়ে ১০ বছর পর ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়াল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে বিপর্যয়ের পর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ হাজারের নিচে নেমে আসে সূচক।
সবশেষ ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্টে।
চলতি বছরে আগস্টে শুরু হয় ৬ হাজার ৪৮১ পয়েন্ট দিয়ে। সেখান থেকে ১৩ কার্যদিবস উত্থান শেষে ৭ হাজার পয়েন্টের কাছে চলে যায় সূচক। যদিও ৬ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে পৌঁছানোর পর সূচকে টানা তিন দিনের পতন যোগ হয়।
২৯ আগস্ট সূচক নেমে আসে ৬ হাজার ৮২৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে মাত্র তিন কার্যদিবসে সূচকের নতুন মোড় নেয়। রোববার ৭ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে নতুন উচ্চতায় উঠে সূচক।
এ ছাড়া টানা বাড়তে থাকা পুঁজিবাজার গত ২৫ আগস্ট ৬ হাজার ৯২১ পয়েন্টে ওঠার পর শেষ সোয়া ঘণ্টায় হঠাৎ করেই ৪১ পয়েন্ট হারিয়ে বসে। পরের দুই দিন পড়ে আরও ৫৪ পয়েন্ট।
৪ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো টানা তিন দিনের পতনে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়, তবে পরের দুই দিনে ৯২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
ডিএসইর নতুন ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেক সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শুক্রবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম নতুন করে বলেন, ‘পুঁজিবাজার আরও বড় হবে। এর জন্য বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা দিতে হবে। যারা এখানে তাদের সঞ্চয় বিনিয়োগ করেন, তাদের সঞ্চয়ের নিরাপত্তা দিতে হবে।’
এ ছাড়া ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমানও পুঁজিবাজারের লেনদেন ৫ হাজারে কোটি টাকায় যাওয়ার আভাস দেন। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উত্থানে সূচক খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও এই সূচক ২০ হাজার পয়েন্টে যাবে বলে মন্তব্য করেন।
রোববার সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হলে সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৯৮১ পয়েন্টে। সেখান থেকে এক লাফে সূচক ৭ হাজার ১৯ পয়েন্টে উঠে আসে। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০টা ২৩ মিনিটে সূচক দাঁড়ায় ৭ হাজার ৫০ পয়েন্টে।
লেনদেনের এক ঘণ্টায় সূচকের উত্থান অব্যাহত আছে। ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭০ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫১ পয়েন্টে।
এ সময়ে লেনদেন হওয়া ২৬৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ৬৯টির। লেনদেন হয়েছে ৫৬৩ কোটি টাকা।
লেনদেনে ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। পাশাপাশি বস্ত্র খাতের শেয়ারেরও দর বেড়েছে। দর কমেছে ওষুধ ও রসায়ন, বিমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের।